দেশের লাখো গৃহশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্রমজীবী হলেও নেই কোনো আইনি স্বীকৃতি, সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা নির্ধারিত মজুরি। শ্রমজীবী মানুষ হিসেবেও স্বীকৃতি পাচ্ছেন না গৃহশ্রমিকরা। ফলে শ্রমের স্বীকৃতি ও গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে আশার আলো সোসাইটি। গতকাল রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা ও মিডিয়া ক্যাম্পেইনে এই দাবি জানানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মসূচির বিষয় ছিল ‘গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার’। আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের গৃহশ্রমিকরা এখনো শ্রমিক হিসেবে আইনগত স্বীকৃতি পাননি। শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতায় তারা অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাদের সুনির্দিষ্ট অধিকার নেই। নিয়োগপত্র, সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, ছুটি কিংবা ন্যায্য মজুরি,এসব মৌলিক সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। বক্তারা বলেন, বেশিরভাগ গৃহশ্রমিক ও নিয়োগকারীই ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ সম্পর্কে সচেতন নন। ফলে নীতি থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আর গৃহশ্রমিকদের নিপীড়ন, হয়রানি ও শোষণের পথ বন্ধ হচ্ছে না। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শোভন কাজ সংক্রান্ত কনভেনশন-১৮৯ এ স্বাক্ষর করলেও তা এখনো অনুসমর্থন করেনি।