বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থপাচার মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করে। এর আগে গেলো ১০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজার রায় স্থগিত করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টি দুর্নীতির মামলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অর্থ পাচারের এ মামলাটি। এ মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পান তারেক রহমান। যে বিচারক এ মামলায় তাকে খালাস দেন ওই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় এক সময়। পরে এ খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এখানে এসে তারেক রহমানকে দেয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্য মামলার সঙ্গে অর্থ পাচার মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও। যার শুনানি হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে দুইজনেরই সাজার রায় স্থগিত করে সর্বোচ্চ আদালত। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় জিতেছেন তারেক রহমান। দণ্ড হওয়া আরও তিন মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।