পরিবার মানে শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়, পরিবার মানে ভালোবাসার বন্ধন, নিঃস্বার্থ সহযোগিতা, একসঙ্গে পথচলার প্রতিশ্রুতি। আমাদের ‘রয়েল ফ্যামিলি’ ঠিক তেমনই এক অসাধারণ পরিবার, যেখানে প্রতিটি সদস্যই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি সম্পর্কই মূল্যবান। গত শনিবারের মিলনমেলা আমাদের পরিবারের জন্য এক বড় মাইলফলক। জীবনের ব্যস্ততার মাঝে সবাই একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুব বেশি আসে না। কিন্তু বিশেষ দিনে আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়।
এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অবদান অনস্বীকার্য, তবে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই বড় আপা ও বড় দুলাভাইয়ের প্রতি। তাদের স্নেহ, ভালোবাসা ও নিঃস্বার্থ ত্যাগ আমাদের এই পরিবারের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করেছে। বড় আপার মমতা ও বড় দুলাভাইয়ের প্রেরণা আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সহায়ক হয়েছে। তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
যদিও সম্পর্কে ও বয়সে আমি ভাইয়াদের তুলনায় ছোট, তবুও আমাদের মধ্যকার বন্ধন একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ। এই পারিবারিক বন্ধন আমাদের হৃদয়ের এক অমূল্য সম্পদ, যা প্রতিনিয়ত আমাদের একে অপরের প্রতি আরো কাছে টেনে নিচ্ছে। আমাদের পরিবার শুধু আমাদের নিজেদের জন্য নয়, বরং আশপাশের মানুষদের জন্যও অনুপ্রেরণা। আমরা একে অপরের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব- এটাই আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় শক্তি। আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক সরকার ও মাহবুবা চৌধুরী পরিবারের এক স্মরণীয় মিলনমেলা। বাবা জমিদার বশির সরকার। রাজ্জাক সরকার ছেলে ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে ফুটবল খেলতে খুবই ভালোবাসেন ডিভিশন লিগ খেলতেন। তিনি পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। শিক্ষকতা শুরু করলেও ফুটবল খেলার নেশা তার পেয়ে বসে। একটা সময় খেলার জন্য শিক্ষকতা ছেড়ে দেন। খেলতে গিয়ে স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। তারপর থেকে সংসার শুরু কিন্তু সংসারের যাবতীয় দেখভাল করতেন চৌধুরী পরিবারের একমাত্র বড় কন্যা মাহবুবা চৌধুরী।
কঠোর শাসনে সন্তানদের মানুষ করে তোলেন। এই পরিবারে সবাই একসঙ্গে হওয়াটা খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার। অনেক সদস্যই দেশের বাইরে থাকেন। পেশায় কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। বড় মেয়ে, বড় জামাই থেকে শুরু করে প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। এই পরিবারের এখন প্রায় ১১ জন ইঞ্জিনিয়ার, ১৩ জন ডাক্তার আছেন।
এছাড়া শিক্ষারতা ব্যাংক ইন সেক্টরে বিভিন্ন পেশায় এই পরিবারের সদস্যরা অবদান রেখে যাচ্ছে। তাদের পরিবারের সবাই ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো আছে। যার যার অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমার শাশুড়ি আম্মাকে রত্নগর্ভা সম্মানিত করা হয়েছে। আর শ্বশুর আব্বাকে সফল বাবা হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে।