প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদের আশ্বাসে ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। ১০ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে প্রবাসীদের পক্ষে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে বের হওয়ার পর প্রতিনিধিদলের সদস্য আরব আমিরাত ফেরত প্রবাসী খালেদ সাইফুল্লাহ এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা রমনা জোনের ডিসির প্রতি কৃতজ্ঞ। তার উদ্যোগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা ছয়জনের প্রতিনিধিদল সেখানে যাই। আমাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ কথা বলেছেন। সেখানে আমাদের মৌলিক যে পাঁচটি দাবি, তা নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাত যাবেন, সেজন্য আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আজকেই তার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস তিনি দিয়েছেন সহকারী একান্ত সচিব। তিনি দাবিগুলো নোট আকারে প্রধান উপদেষ্টাকে দেবেন, যেন প্রধান উপদেষ্টা আমিরাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। তিনি আরো বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছেন না, তা নিয়ে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা দেয়া হবে। যেহেতু তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছে, তাই আমরা আগামী ১০ দিন আমাদের আন্দোলন স্থগিত রাখছি। ১০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রবাসী খালেদ সাইফুল্লাহ, মীর রাজিব, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন অপূর্ব, নাঈম ও মাইনুদ্দিন। আন্দোলনকারীদের প্রধান তিনটি দাবি ছিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।