মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল বাংলাদেশ। অপ্রত্যাশিত সেই ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের। তাই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না লাল সবুজের যুবাদের সামনে। সেই সমীকরণ মাথায় রেখেই ভুটানের মুখোমুখি হয়েছিল গালাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নেয় আরও এক গোল। তাতেই মিলে যায় বড় ব্যবধানে জয়। গতকাল রোববার ভারতের অরুনাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় লাল সবুজ দলের।
গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের গ্রুপ সেরা হওয়ার সমীকরণ নির্ভর করছে আগামীকাল মঙ্গলবার মালদ্বীপ-ভুটান ম্যাচের ফলের ওপর। মালদ্বীপের পয়েন্ট ১। এখনও পয়েন্ট পায়নি ভুটান। প্রথম ম্যাচের হতাশা ঝেড়ে ফেলতে ভুটানের বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। ত্রয়োদশ মিনিটে একক প্রচেষ্টার গোলে দলকে এগিয়ে নেন মুর্শেদ। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। গোছালো ফুটবলে ২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। এই গোলে অবশ্য কিছুটা দায় আছে ভুটানের রক্ষণের। ডান দিক থেকে মুর্শেদের ক্রস এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় অন্য প্রান্তে সুমন সরেনের কাছে। তার শট ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণের চেয়ে বলের নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী ছিল বাংলাদেশ। ৭৩তম মিনিটে মুর্শেদের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কর্নার হয়। কর্নার ফিস্ট করে ফেরান ভুটান গোলকিপার। একটু পর গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মাহিনের দৃঢ়তায় ব্যবধান ধরে রাখে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা টেনডিং টিসেরাংয়ের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি। শেষ দিকে কিছুটা গতি ফেরে বাংলাদেশের খেলায়। ৭৯তম মিনিটে সতীর্থের পাসের নাগাল অল্পের জন্য পাননি বক্সে ভালো জায়গায় থাকা নাজমুল হুদা ফয়সাল। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন ফয়সাল। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মুর্শেদের ক্রস নিখুঁত ট্যাপে জালে জড়িয়ে দেন অধিনায়ক।