ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল বাজারে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পাকশিমুল গ্রামের নুরুল আমীন ও আকবর মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকশিমুল বাজারের ২০ শতাংশ জমির দখল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে নুরুল আমীনের লোকজনের সঙ্গে আকবর মিয়ার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। দুই মাস ধরে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠি-সোঁটা নিয়ে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ শুরু হলে বাজারের দোকানপাট ও সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়।
নুরুল আমীন বলেন, ‘এটি আমাদের কেনা জায়গা। আকবর মিয়ার লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখলে নিতে চায়। তারা আজ আমাদের ওপর দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজন আত্মরক্ষার জন্য তাদের প্রতিহত করেছে। আমি চোখে আঘাত পেয়েছি। আমার দুই ভাই বল্লমের আঘাত পেয়েছে। গুরুতর আহত আমাদের আটজনকে জেলা সদরে চিকিৎসা দিচ্ছি।’
আকবর মিয়া বলেন, নুরুল আমীন ভূমি অফিসে চাকরি করেন। তিনি প্রতারণা করে জায়গাটি দখলে নিতে চান। তার কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আজ ওই জায়গা দখলে নিতে গেলে তাদের লোকজন বাধা দেন এবং তার (আকবর) লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে নাঈম মিয়া (৩০) নামের এক যুবকসহ আহত সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।