বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে গত শনিবার। সহজ জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করেছে টাইগাররা। আর বাকি একটি ম্যাচ, এদিকে পাকিস্তান সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। এই অনিশ্চয়তার মাঝে নতুন আরেকটি পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফাঁকা সময় তৈরি হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাড়তি একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় বাংলাদেশ। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীনের পরামর্শ অনুযায়ী এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে গতকাল রোববার এই প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি। একই বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস জানান এই খবর। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান দলের সঙ্গে আরব আমিরাতে আছে। তার পরামর্শ অনুযায়ী, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে আরেকটা টি-টোয়েন্টি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’ আইসিসি ভবিষ্যৎ সফরসূচির বাইরে আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি খেলছে বিসিবি। এবার সেটির দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মূলত পাকিস্তান সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) খেলা পিছিয়ে গেছে এক সপ্তাহ।
নতুন সূচিতে এখন ফাইনাল হবে আগামী ২৫ মে। সেদিনই বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর কথা ছিল। নাফীস জানালেন, পাকিস্তান সফরের ম্যাচগুলো পিছিয়ে যাওয়ায় ফাঁকা সময় কাজে লাগাতে চায় বিসিবি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের সূচিতে আমাদের ২১ তারিখ পাকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল। এখন সফর হলেও সেটা যে পিছিয়ে যাবে, তা নিশ্চিত। তাই ফাঁকা সময় তৈরি হওয়ায়, অপারেশন্স চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আমরা আরেকটা বাড়তি টি-টোয়েন্টি খেলতে পারি কি না।’ এক পর্যায়ে অবশ্য নিরাপত্তা শঙ্কায় অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর। তবে এরই মধ্যে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেছে বিসিবি। ওই সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত এখন ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড।
কোনো ক্রিকেটার চাইলে নিজ থেকে পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে ক্রিকেটারদের মতামত জানতে ও তাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে তাই নাজমুল আবেদীনের পাশাপাশি বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদও গেছেন আরব আমিরাতে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পরই আরেকটি টি-টোয়েন্টি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাড়তি ম্যাচ খেলতে রাজি হলে সেই সিরিজ শেষ করে সরাসরি পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ দল। বাড়তি ম্যাচটি না হলে দেশে ফিরে পরে পাকিস্তান যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের এবারের সফর এফটিপির বাইরে দুই দেশের বোর্ডের সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছে। নতুন করে একটি ম?্যাচ বাড়লে দুই দেশেরই লাভ। এর আগে একবারই দুই দল দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল। সেটাও দুই ম?্যাচের ছিল। ১৯ মে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর একদিন বিরতি দিয়ে তৃতীয় ম?্যাচটি হতে পারে। পিএসএলের ফাইনাল ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। আগের সূচি অনুযায়ী সেদিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। সংশোধিত সূচি অনুসারে, দুই দিন পিছিয়ে সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে থেকে।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে বিসিবি আরেকটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। ২১ মে ম্যাচটি খেলে ২৩ মে দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে। সরকার থেকে এরই মধ্যে পাকিস্তানে যেতে অনুমতি পেয়েছে বিসিবি। তবে কোনো ক্রিকেটার পাকিস্তানে নিরাপত্তার কারণে যেতে না চাইলে বিসিবি তাকে দেশে ফেরত আনাবে। যতটুকু জানা গেছে, কোনো ক্রিকেটার এখনও পাকিস্তানে যেতে অসম্মতি জানায়নি।
