আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
বুধবার (১৪ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে কাজ করছে দুদক। পাশাপাশি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককেও ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য ইন্টারপোলের সহায়তা নেবে দুদক।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল ২০১১ সালে। সে চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনা সম্ভব। আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক দুদকের তলবে সাড়া দেননি। কোনো প্রতিনিধিও তিনি পাঠাননি। তাই তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন। তাকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে টিউলিপকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। তবে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক হাজির না হওয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিয়ম অনুযায়ী সবাই পেয়ে থাকেন। কেউ উপস্থিত না হলে আন্তর্জাতিকভাবে যেটি প্রযোজ্য, সেটি অনুসরণ করা হবে।
ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, যদি আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে না পাই, কিংবা তিনি যদি বিদেশি নাগরিক হন অথবা পলাতক থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাকে পলাতক হিসেবে বিবেচনা করব। দেশে ফেরানোর বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সে ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে জানানো হবে। এরপর পদ্ধতিগতভাবে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হবে।
আবা/এসআর/২৫