বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার-১, ২, ৬-৮ এবং (এক্সটেনশান)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপ্ত হওয়া ও চলমান কাজ পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ। গত শুক্রবার তিনি আশাশুনির কুল্যা সেতুসংলগ্ন এলাকায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতনা নদী খনন কাজ পরিদর্শন করেন। সেখানে সরেজমিন কাজ দেখার পাশাপাশি প্রকল্পের কাজের খোঁজখবর নেন। এ সময় পাউবোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ কুমার সাহা প্রকল্পের আওতায় সমাপ্ত ও চলমান কাজের তথ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে একনেকে এ প্রকল্প পাস হয় এবং ২০২১ সালে এ কাজ শুরু হয়। এবছর জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এপ্রিল মাসের মধ্যে বেতনা নদীর খনন কাজও শেষ হবে। ৩১টি স্লুইস গেটের কাজ প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকি গেটগুলো অন্য ফান্ড থেকে করা হবে। তিনি বলেন, খননের সময় অতিরিক্ত মাটি প্রকাশ্যে বিক্রি করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, সাতক্ষীরা একটি উপকূলীয় জেলা। জলাবদ্ধতা এ জেলার একটি প্রধান সমস্যা। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে সঠিকভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও নদী খননের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না। চলতি বাংলা সনের মধ্যে নদী খনন কাজ শেষ করতে হবে। আর এ খননের কাজ শেষ হলে তখন মানুষের মুখে হাসি ফুটবে ইনশাআল্লাহ। এলাকার মানুষ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে তিনি জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, ডিআইজি রেজাউল হক পিপিএম, সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) ড. জয়নাল আবদিন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, আশাশুনি থানার ওসি নোমান হোসেন, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশসহ অন্যান্যরা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব সেখান থেকে শ্যামনগরে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজমে নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে দুপুর আড়াইটায় তিনি গাবুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে তিনি বিকালে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ও দোবেকি ফরেস্ট স্টেশন পরিদর্শন করেন।