
রংপুরের পীরগঞ্জে গত শুক্রবার মস্তক বিহীন এক মহিলার লাশ উদ্ধারের পর পীরগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার মস্তকটি উদ্ধার করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুরকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও একাধিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের সীম খেত থেকে পুলিশ এক অজ্ঞাত মহিলার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম নিশ্চিত হয় উক্ত মহিলা নীলফামারী জেলার জলডাকা উপজেলার পশ্চিম গোল মুন্ডা ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত্য রবিউল ইসলামের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম (৩১)।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সেদিনই মাথাটি উদ্ধারের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালালেও মস্তকটি উদ্ধার করতে পারেনি। পরে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম এদিকে অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে পুলিশ আতিকুরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আতিকুর হত্যার দায় স্বীকার করলে পুলিশ তাকে নিয়ে মস্তকটি উদ্ধারে যায় এবং তার দেয়া তথ্য মতে করতোয়া নদীর টোংরারদহ থেকে মস্তকটি উদ্ধার করে। রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাঈম থানায় এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।