কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছাত্রদের করা নাশকতা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নেতাকর্মীরা। তবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সকাল ১০ টার দিকে আটককৃত হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র শামীম হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৩০ জনকে। পরে ছাত্রলীগের আরেক নেতা প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, স্বৈরচারী আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নাশকতা করতে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পরে পুলিশের খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি। কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, ৩০ জনকে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা হয়েছে।