পাবনার ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১২টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে ও ছয়টি পরিবারের ১৩টি বসতঘর পুড়ে গেছে। নিহত গৃহবধূ আদেলা বেগম আসনা গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামের আব্দুর রহিম কাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রতিবেশী আসাদুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ জিয়ারুলের বাড়িতে ধোঁয়া দেখে এলাকার লোকজ্বন ছুটে যায়। যে যার মতো আগুন নেভানোর জ্বন্য পানির ব্যবস্থা করতে থাকে। ১৫ মিনিট পরই ঈশ্বরদী ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগুনে ৬টি পরিবারের ১৩-১৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জ্বন্য পাবনা, ঈশ্বরদী, লালপুর, পাকশী ইপিজেডসহ ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট এক যোগে কাজ্ব করে। এ সময় ঘরে আটকা পড়ে জিয়ারুলের স্ত্রী আদেলা বেগম মারা যান। ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ্ব ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আগুনের ভয়াবহতা এতো বেশি ছিল যে পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ্ব করে। আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা যাচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এটি হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখন তাৎক্ষণিক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত করে বিষয়টি জানানো যাবে। উপজেলার সাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও কম্বল প্রদান করা হয়।