সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নদীগুলোর বাঁধে প্রভাবশালী ঘের মালিকরা ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তোলায় বাধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে ক্রমে ক্রমে ফাটল বড় হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।
শ্যামনগরে সবকটি ইউনিয়ন নদীবেষ্টিত উপকূলীয় ইউনিয়ন হওয়ায় নদীগুলোতে নোনা নোনা পানি ও সবসময় জোয়ার ভাটা হয় নদীতে। যে কারণে প্রায় সময় বাঁধ ভেঙে নোনা পানি উঠে প্লাবিত হয় এলাকা। পাশাপাশি প্রভাবশালী ঘের মালিকরা পাউবোর বাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তুলে চিংড়ি ঘের করারর কারণে সেসব স্থান দিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই ভাঙন দিনের পর দিন বড় হয়ে যে কোনো জোয়ারে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা হচ্ছে প্লাবিত। এর ফলে ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ছে, গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, পুকুরের মাছ মরে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ। এ পর্যন্ত উপকূলীয় অনেক মানুষ এ ভাবে সর্বশান্ত হয়ে জীবিকার তাগিদে অন্যত্র পাড়িও জমিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোডের্র কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে বিঘা প্রতি চুক্তিতে বাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর অনুমতি নিচ্ছেন। বাঁধ ছিদ্র করে নোনা পানি বন্ধের জন্য এলাকাবাসী বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানালেও কোনো ফল হয়নি। এছাড়া নোনা পানি তোলা বন্ধের জন্য বিভিন্ন সংস্থা মানববন্ধনসহ সমাবেশ করেছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মো. ইমরান বলেন, ঘের মালিকরা আমাদের অজান্তে পাইপ বসিয়েছে বিভিন্ন স্থানে আমরা নোটিশ করেছি। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন বলেন, দ্রুত অভিযান চালানো হবে।