চাঁদপুরে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী ফল, পুষ্টি ও বৃক্ষমেলা। মেলাটি দুই ভাগে বিভক্ত, একটি পরিপূর্ণ বৃক্ষমেলা, অন্যটি কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টিমেলা। মেলার প্রতিটি স্টলেই কৃষি, প্রযুক্তি ও পুষ্টির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করছে।
গত বুধবার শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুর রাকিব, জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম বেপারী ওরফে রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর কাদের এবং কৃষি, বন ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ দুই মেলায় রয়েছে জাতীয় ফল মেলা বিভাগ, কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা বিভাগ, চাঁদপুর নার্সারি ও অন্যান্য স্থানীয় নার্সারির স্টল।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা ছাড়াও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, জৈব সার, গ্রিন হাউজ ও ছাদ কৃষির উপকরণ এবং পুষ্টিকর খাদ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ মেলা যেমন কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি চেনার সুযোগ করে দিচ্ছে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও গাছপালা ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের কৃষি, পরিবেশ ও পুষ্টি সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আয়োজনকারীরা। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, বৃক্ষ, ফল ও পুষ্টির সঙ্গে আমাদের জীবনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পরিবেশ রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে বৃক্ষরোপণ ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। কৃষকদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই মেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যেমন ফলজ ও ওষুধি গাছ সম্পর্কে জানতে পারছে, তেমনি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা অর্জন করছে।
আমি আশা করি, চাঁদপুরের প্রতিটি পরিবার অন্তত একটি ফলদ ও একটি বনজ গাছ রোপণ করবে এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে সচেতন হবেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব কৃষি চর্চা ও টেকসই পুষ্টি সচেতনতার এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।