বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে।
আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে চক্রান্ত কিন্ত থেমে নেই। আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এই চক্রান্তকারীরা যেন জয়ী হতে না পারে। জনগণের সম্পদ যেন জনগণের হাতেই থাকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভুলণ্ঠিত না হয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি। যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে। যেখানে শিক্ষার ব্যবস্থা ভালো থাকবে। সেই সুন্দর দেশ গঠনের জন্য বিএনপিকে দরকার। গত শনিবার রাতে টাঙ্গাইল ক্লাবের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম পিন্টু বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ভয়ানক নির্যাতন চালিয়েছিল। এদেশের ছাত্রজনতা কৃষক মজুর মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারীকে দেশছাড়া করেছে, তার পতন ঘটিয়েছে। আন্দোলনে ছাত্রদের পাশাপাশি শহিদ হয়েছে কৃষক শ্রমিক ও সাধারণ জনতা। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেভাবে এদেশের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন তার সন্তান তারেক জিয়াও এদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন ইনশাল্লাহ।
এসময় তিনি বলেন, ৯১ সালে মানুষ মনে করেছিল বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু এদেশের মানুষ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেছিল বলেই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল এবং বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বেগম জিয়া চেষ্টা করেছিলেন জিয়ার আদর্শে দেশকে পরিচালনা করতে। কিন্তু চক্রান্ত করে বেগম জিয়াকে বার বার ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে এবং তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিনা বিচারে কারাবদ্ধ করে রেখেছেন। জেলের বাইরে থেকে তাকে রাজনীতি করতে দেয়নি। অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে তার করুণ অবস্থা তৈরি করেছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলী ইমাম তপন, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, টাঙ্গাইল বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সাঈদ আল খালিদ সোপান। এ সময় টাঙ্গাইল ক্লাবের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।