ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরগঞ্জে কালভার্ট করতে বাধা জলবদ্ধতায় অর্ধশতাধিক পরিবার

ঈশ্বরগঞ্জে কালভার্ট করতে বাধা জলবদ্ধতায় অর্ধশতাধিক পরিবার

শতবছরের বেশি সময় ধরে রাস্তায় ছিল কালভার্ট। নতুন করে টেন্ডার হওয়ায় পুরো রাস্তা নতুন করে হচ্ছে। সে অনুযায়ী নতুন একটি কালভার্ট হওয়ার কথা। কিন্তু বাধার কারণে সেটি হচ্ছে না। উল্টো মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে পুরনো কালভার্টটি। এতে জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। রাস্তা তদারকি করা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেও মিলছে না কোনো সমাধান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে ছিল একটি কালভার্ট। সম্প্রতি গাজীপুর থেকে হোসেনপুর পর্যন্ত নতুন করে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তাহের ব্রাদার্স’। কালভার্টটি নতুন করে করার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল তাহের ব্রাদার্স। কালভার্ট তৈরির জায়গার পাশে ডাইভারশান (পার্শ্বরাস্তা) তৈরি করেছিল। কিন্তু বাধার মুখে তারা কালভার্ট তৈরি থেকে পিছিয়ে আসে। স্থানীয় মাজহারুল নামের এক ব্যক্তি মূলত এ বাধাতে নেতৃত্ব দেন বলে জানা যায়। তাহের ব্রাদার্সের ইঞ্জিনিয়ার আলী নূর বলেন, ‘একটি কালভার্টের খরচ প্রায় ১৫ লাখ টাকা। অনেকেই আবেদন করেও পায় না কালভার্ট। আর মাইজহাটি গ্রামের মানুষ সেটি এমনিতেই পাওয়ার কথা। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার জন্য আমরা দিতে পারিনি’। স্থানীয় এক কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, অল্প বৃষ্টি হলেই এখন ঘরে পানি ওঠে। ফসল নষ্ট হয়। তার চাচা আব্দুর রাজ্জাকের আখ খেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। পুকুরে ২০ হাজার টাকার পোনা মাছ ছেড়েছিলেন রতন মিয়া। বৃষ্টিতে সৃষ্টি জলাবদ্ধতায় অল্পতেই তলিয়ে গেছে তার পুকুর। কিভাবে ক্ষতি পোষাবেন সেই চিন্তায় হতাশ হয়ে আছেন বলে জানান তিনি।

আরেক কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমার দাদার দাদার আমল থেকে এখানে ব্রীজ ছিল। কোনদিন পানি আটকায়নি এই এলাকায়। কিন্তু এখন পানি নিষ্কাশনের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আমরা জলাবদ্ধতায় খুব বিপাকে আছি’। এদিকে ছয়মাস আগে লিখিত আবেদন করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। আবেদনে রাজিবপুর ইউনিয়নের সাহাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে মাইজহাটি মৌজায় একটি কালভার্টের বিষয়ে আবেদন করা হয়। কয়েকবার কালভার্ট তৈরির কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে তা আর হয়নি মর্মে উল্লেখ করেও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত