ঢাকা উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে স্কুলের কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী (৪২) দগ্ধ হন।
দগ্ধ শরীর নিয়েই শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে শতভাগ দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন এই সাহসী শিক্ষিকা। গতকাল মঙ্গলবার ৪টায় নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ির চৌধুরী পাড়া নিজ গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। নিহত মাহরিন নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার গ্রামের মরহুম মুহিত চৌধুরীর মেয়ে ও একই এলাকার মনসুর হেলালের স্ত্রী। তিনি রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) শিক্ষিকা ছিলেন মাহরিন চৌধুরী। এছাড়াও জলঢাকা বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ওই সময় স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের হাত ধরে গেট পার করানো ছিল মাহরিন চৌধুরীর নিত্যদিনের দায়িত্ব। আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লেও দায়িত্বে অটল ছিলেন মাহরিন। নিজে বেরিয়ে যাওয়ার আগে যতজন শিক্ষার্থীকে সম্ভব বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। এ সময় তার শরীরে আগুন ধরে যায়। ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়ে মাইলস্টোনের এই শিক্ষিকা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মাহরিন চৌধুরীর ভাই মুনাফ চৌধুরী জানান, গ্রামের বাড়িতে তার দ্বিতীয় জানাজা এবং আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে আমাদের বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হয়েছে। আমার বোনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।