ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে রুহুল আমিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

সিরাজগঞ্জে রুহুল আমিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর চালক রহুল আমিন জেলহককে (২০) হত্যার পর মিশুক ছিনতাইয়ের ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- একই এলাকার হাফিজুল ইসলাম (৪০), জাকারিয়া হোসেন (৩০), মঞ্জেল সরদার (৪০) ও ওমর ফারুক(২৫)। ওসি (ডিবি) একরামুল হোসাইন পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত উপজেলার ক্ষুদ্র মনোহার গ্রামের জেলহক গত ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে মিশুক গাড়ি নিয়ে বের হয় এবং রাতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এতে পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বহু খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায় নি। গত ১৮ জুলাই একই এলাকার ফুলজোর নদীতে গলায় গামছা পেঁচানো জেলহকের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশ ওইদিন অর্ধগলিত তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তারা তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মিশুক গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই নদীতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হাফিজুর রহমান, উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি রাকিবুল হাসান ও ওসি (ডিবি) একরামুল হোসাইনের তত্বাবধানে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত শুরু করে। এ তদন্তে আসামিদের সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মিশুক চালক জেলহককে হত্যা করে তার ব্যাটারি চালিত অটো মিশুক গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে ৪টি ব্যাটারি, ৩টি চাকা ও ২টি লোহার তৈরি সকাপ খুলে আলাদা আলাদা বিক্রি করে এবং গাড়ির বডি একই এলাকার বড়পাঙ্গাসী নদীপাড়া পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে এসব উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আসামিদের ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ চারজন আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত