ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে আগাম ক্ষীরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

সিরাজগঞ্জে আগাম ক্ষীরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এবার আগাম ক্ষীরা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে জমিতে ক্ষীরা বীজ রোপণ শুরু করেছে কৃষকেরা। এ চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম ক্ষীরা চাষাবাদে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা দেড়শ হেক্টর জমিতে খরিপ-২, দেশি ও হাইব্রিড জাতের ক্ষীরার বীজ রোপণ করা হয়েছে এবং এ চাষাবাদে কৃষকেরা আরও জমি প্রশস্ত করছে। এ জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলা এবং কামারখন্দ, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা চাষাবাদ করছে কৃষকেরা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে নদী, খাল, বিল, বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় ও পতিত জমিতে এ চাষাবাদও শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে নারীরা এ বাগান ক্ষীরা চাষাবাদে বেশি পরিচর্যা করে থাকে। কৃষকেরা এ লাভজনক চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছে।

বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েক সপ্তাহ আগে এ আগাম ক্ষীরা চাষাবাদ করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষীরা বাগানে পরিচর্যাও শুরু হয়েছে। চরের এ উৎপাদিত ক্ষীরা আগামী মাসের মাঝামাঝি বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা। এছাড়া উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতাপ এলাকার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব ও আব্দুর রাজ্জাক এবার প্রায় ২ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষাবাদে বীজ রোপণ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম এ হাইব্রিড ক্ষীরা চাষে বেশি লাভবানের আশা করছেন। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ এ চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শও দিচ্ছে। অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে, উল্লাপাড়া উপজেলা ও চরাঞ্চলেই প্রতিবছর এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এবারও এ ক্ষীরা চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ মাসের শেষ দিকে আগাম ক্ষীরা চাষের বীজ রোপণ শেষ হবে এবং প্রায় গড়ে ২ মাসের মধ্যেই ক্ষীরা উৎপাদন শুরু হবে।

আর স্থানীয় হাট-বাজারে এ নতুন ক্ষীরা উঠবে এবং বাজার ভালো থাকলে খুশি হবে কৃষকেরা। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচারক আ জা এু আহসান শহীদ সরকার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও এ আগাম ক্ষীরা চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে চলনবিল ঘেষা তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে এ আগাম ক্ষীরা বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এরইমধ্যে চরাঞ্চলে এ আগাম ক্ষীরার বীজ রোপণ শেষ হয়েছে এবং ক্ষীরার বাগান পরিচর্যাও শুরু হয়েছে। আশা করছি এবারও ক্ষীরার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত