
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়। ব্র্যাকের ‘ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর দি ওমেন অ্যান্ড ইয়থ ইন কক্সবাজার-আইএসইসি প্রকল্পের এক জরিপে দেখা যায়, কক্সবাজারে মার্কেট ও হোটেল খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নারীদের কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নে তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করা, স্থানীয় বাজারগুলিতে নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ টয়লেট নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন’ স্বীকৃতি প্রদান করে নারী-সহায়ক নীতি বাস্তবায়নকে উৎসাহিতকরণ, নারী শ্রমিকদের অভিযোগ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংগঠনগুলো যৌথভাবে কাজ করা জরুরি। গতকাল কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসি সংলাপে বক্তারা এই সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন। ব্র্যাকের ‘ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর দি ওমেন অ্যান্ড ইয়থ ইন কক্সবাজার (আইএসইসি-ওঝঊঈ) প্রকল্পের উদ্যোগে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে ব্র্যাক-এর আইএসইসি প্রকল্পের প্রধান খন্দকার ফখরুল আলম স্বাগত বক্তব্য এবং প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন। ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কাজী রওশন আরা বলেন, বাজার ও হোটেল খাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো ও নীতি বাস্তবায়ন জরুরি। এতে শুধু নারীর কর্মসংস্থানই নয়, পুরো অর্থনীতি উপকৃত হবে। ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের প্রধান মাসুমা বিল্লাহ এই সংক্রান্ত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন।