ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কয়রায় সারের তীব্রসংকট

কয়রায় সারের তীব্রসংকট

খুলনার কয়রায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সারের বরাদ্দ মিলছে না। চাহিদা পূরণে ডিলার ও সাব ডিলাররা সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের মাছের ঘের এলাকার ডিলারদের থেকে বেশি মূল্যে সার ক্রয় করে কৃষকের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক আমনের চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু বহু কৃষক চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে জমিতে বিভিন্ন কোম্পানির মিশ্র সার প্রয়োগ করছেন। বরদ্দ কম থাকার অজুহাতে ডিলার ও সাব ডিলাররা ইউরিয়া, ড্যাপ, পটাশ, টিএসপি বেশি দামে বিক্রি করছে। বিসিআইসির উত্তর বেদকাশির ডিলার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫ বস্তা পটাশ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখানকার সার ডিলার মোকলেছ বলেন, তিনি ২ বস্তা পটাশ বরাদ্দ পেয়েছেন। দুই দিনে তা বিক্রি হয়ে গেছে। বরাদ্দের বাইরে সার কিনে বিক্রি করতে হলে দাম বেশি পড়ে। আমাদি ইউনিয়নের শুড়িখালি বাজারের সাব ডিলার বিধানের দোকানে ২৮ কেজিতে পটাশ ও ৩২ টাকা কেজিতে ড্যাপ বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানায়। মহেশ্বীপুর, কয়রা সদর, বাগালি, ঘড়িলাল বাজার, কাশিরহাট, নাকশা, মহারাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশির বেশিরভাগ ডিলার ও সাব ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূলে সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহেশ্বরীপুরের গিলাবাড়ি বাজারের সাব ডিলার ওমর আলী, বানিয়াখালির বিরিঞ্চি মন্ডল, কাঁঠালতলার রবিন মন্ডল বলেন, কৃষকের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম, তাই বাইরের বাজার থেকে বেশি দামে সার কিনে বিক্রি করতে হলে দাম একটু বেশি পড়ে। ভান্ডারপোল বাজারে কবিরের কীটনাশকের দোকানে সারের ডিলারশিপ ছাড়া ইউরিয়া, পটাশ, ড্যাপ, ফসফেট অবাধে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা ডিলার সমিতির সভাপতি ও বাগালি ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার আবুল হাসান বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে কৃষকের সারের চাহিদা ছিল ১,১৮০ মেট্রিক টন। কিন্তু কৃষি অফিস থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ২৯১ মেট্রিক টন। এ জন্য বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে সার ক্রয় করে কৃষকের চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করছি। সারের ঘাটতির বিষয়টি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনতে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি। ৪নং কয়রা গ্রামের কৃষক আছাদুল ঢালী বলেন, স্থানীয় সাব ডিলারের কাছ থেকে তিনি ৩০ টাকা কেজি ইউরিয়া, ২৭ টাকায় পটাশ, ৩০ টাকায় ড্যাপ কিনে জমিতে প্রয়োগ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় সরকার বলেন, কৃষকের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত