ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার মাঠে হাঁটুজল

গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার মাঠে হাঁটুজল

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গুরুদাসপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারাবারিষা খাকড়াদহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষার মান ভালো হলেও প্রতিষ্ঠানটিতে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে সাঁতার কাটছে হাঁস, বড় হচ্ছে কচুরিপানা। মাঠের হাঁটু পানিতে হেটে শ্রেণিকক্ষে যায় শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না তারা। বর্ষাকাল এলেই বৃষ্টির পানিতে মাঠজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মাদরাসায় আগতরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ভালো হলেও এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। একমাত্র পাকা ভবনটি ফেটে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানের মাঠটি কয়েক ফুট নিচু হওয়ায় প্রবেশ গেটের নিচে মাঠের পানি চলে এসেছে। টিনশেডের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ মাঠের পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে। কোথাও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকলেও অতিকষ্টে শহিদ মিনার ঘেঁষে কয়েকটি সাইকেল ও মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধ মাঠের উচুতে জাতীয় পতাকা টানানো, পাশেই রয়েছে মাদ্রাসার সিঁড়ি। কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। পানির ওপর বস্তার স্তুপ সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অনেক সময় কাদাযুক্ত পা নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় পা ফেলতে হচ্ছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস রুমের বারান্দার ওপর দিয়ে জরাজীর্ণ পরিবেশে চলাচল করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মাঠজুড়ে জমে থাকা পঁচা পানিতে কচুরিপানা আর ময়লা আবর্জনা যেন মশামাছির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া ও তন্নি আক্তার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। ফলে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হতে পারি না। জলাবদ্ধতার কারণে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে আবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। মাঠের ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চারপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে মশা বংশবিস্তার করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়েও আমরা চিন্তিত। আমরা দ্রুত মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট করে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. ওসমান গনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পাশের সড়ক ও বাড়িঘরের পানি এসে মাদ্রাসার মাঠে জমে। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। মাদ্রাসার মাঠ উঁচু না করা হলে ভোগান্তি আরও বেরে যাবে। মাঠের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন এবং মাদ্রাসা মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার বলেন, ধারাবারিষা খাকড়াদহ দাখিল মাদ্রাসার মাঠটি পরিদর্শন করেছি। মাঠটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত