
আদালতে মামলা পর দীর্ঘ দেড় বছরের আইন লড়াই শেষে চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৯নং রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আলম পান্না। গত সোমবার কুষ্টিয়া সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ নিশীত রঞ্জন বিশ্বাস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আলম পান্নাকে চেয়ারম্যান ঘোষনা করে রায় দেন। এর আগে ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুম আলম পান্না। ওই মামলায় বিাবদী করা হয় চার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৫ জনকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুরের ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৯/০৩/২০২৪ তারিখের নির্বাচনে ১নং বিবাদী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস ঘোড়া প্রতিক মার্কা নিয়ে এবং অন্য ৩ (তিন) প্রার্থী আব্দুল মজিদ (টেবিল ফ্যান প্রতীক) নিয়ে এবং জামিরুল ইসলাম (আনারস প্রতীক) এবং মেহেদী হাসান (চশমা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। উক্ত নির্বাচনে ভোট গননা শেষে দরখাস্তকারী মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত হয়ে ১৮৬ ভোটে বিজয়ী থাকেন।
১নং বিবাদী হেরে যাচ্ছেন বুঝতে পেরে অন্য বিবাদীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে, ফারুক আলম পান্নাকে পরাজিত করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সব ওয়ার্ডের ভোট গণনা শেষে ১নং বিবাদী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস ঘোড়া প্রতিক মার্কা নিয়ে ৬১২৩ ভোট পান। ফারুম আলম পান্না মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ওই একই ৬১২৩ ভোট পান।
লটারি কালে ইউনিয়ন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর সংশোধনী ২০২৩ বিধি ৪১ এর ৬ উপ বিধি অনুযায়ী ২নং বিবাদী প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা এবং তাদের নির্বাচনি এজেন্টগনের সামনে লটারি করেন নাই এবং তাদের নির্বাচনি এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন নাই বলে এজাহার অভিযোগ করেন। যা ইউনিয়ন নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে আইনত বেআইনী। ভোট পূনগণনার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আলম পান্না নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহিত করলেও তারা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেন নি বলে অভিযোগ।
মামলা দায়েরের পর আদালত ওই ইউনিয়নের সব ওয়ার্ডের ভোট পূনগণনা করলে দেখা যায় ওই নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস ঘোড়া প্রতিক মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫৮৯৮ভোট।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আলম পান্না মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১১২ ভোট। নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের চেয়ে তিনি ২১৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। আদালত সব সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষন করে কুষ্টিয়া সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ নিশীত রঞ্জন বিশ্বাস মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ও মামলার বাদী ফারুক আলম পান্নাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফারুক আলম পান্না বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়ছি। দ্রুত সময়ে গেজেট প্রকাশের দাবি জানান তিনি। ফারুক আলম পান্নার আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতে ভোট গণনা করে আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের চেয়ে ফারুক আলম পান্না ২১৪ ভোট বেশি পান। পরে আদালত তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।