
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শীল (পুতা) দিয়ে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে মা-মেয়েকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে এক নারীকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাইরিয়া পূর্বপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী জবা বেগম (৪২)।
এলাকাবাসী, আহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার ডিগবাড়ী এলাকার মৃত সাত্তারের ছেলে শহিদুল ইসলাম কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার জিল্লুর রহমানের বহুতল ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করে আসছেন। এ তিনি তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত ১০ দিন আগে তার ছোট বোন জবা বেগম তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন এবং তার ছোট মেয়েকে নিয়ে যান। এরপর গত মঙ্গলবার বিকালে তার বোন জবা বেগম আবারো তাদের ভাড়া বাসায় আছেন। কিন্তু হঠাৎ করে রাত ৭টার দিকে তার ভাইয়ের একটি কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করেন জবা বেগম। পরে তিনি তার ভাবি হাবিবা বেগমের মাথায় শীল দিয়ে আঘাত করে। এতে হাবিবা ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন তার ননদ জবা। এ সময় হাবিবার বড় মেয়ে শারমিন তার মাকে বাঁচাতে গেলে জবা তাকেও আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং ওই নারী জবাকে আটক করে। এরপর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিলে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকার উত্তরা জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে রাতেই ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম তার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আটক জবাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধ ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে এখনও মা হাবিবার অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। আহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী হাবিবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি। কিন্তু কি কারণে আমার বোন এ ঘটনা ঘটিয়েছি? সেটা বুঝতে পারছি না।