
রংপুরের তিন উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায় গতকাল শনিবার দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তুলশিডাঙা বিল এলাকার ধানখেত থেকে নাছিমা বেগম (৫৬) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তিনি ইমাদপুর সরকার পাড়া গ্রামের মৃত বাবলু মিয়ার স্ত্রী। লাশটি উল্টো অবস্থায় ধানখেতের ভিতর থেকে পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। বৈরাতী পুলিশ ফারির এসআই আমিনুল ইসলাম স্বীকার করেছেন। পীরগঞ্জ উপজেলার খেদমতপুর ইউনিয়নের ঘেগারতল এলাকায় এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। নিহতের নাম আকলিমা বেগম (৬৫)। তিনি ওই এলাকার হাকিম মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। সকালে স্থানীয়রা ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় আকলিমা বেগমের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ভায়ারহাট কালিকাপুর এলাকায় ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৫৫) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভায়ারহাট কালিকাপুর এলাকায় ভায়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার ধারে ডোবার পাশে স্থানীয় এক ব্যক্তি ধানখেত দেখতে গিয়ে অর্ধগলিত লাশটি ভাসতে দেখে চিৎকার করেন। পরে শত শত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, এখনও উদ্ধারকৃত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন।
রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সায়েম জানান তিন উপজেলায় তিনটি নারীর লাশ উদ্বার করা হয়েছে। তবে এখন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পৃথক পৃথক মামলা করা হয়েছে।