ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মাঠে মাঠে সোনালি ধানের শীষ, বাম্পার ফলনের আশা

মাঠে মাঠে সোনালি ধানের শীষ, বাম্পার ফলনের আশা

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। প্রতিবছর আমন ধান চাষের মাধ্যমে এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছে বরাবরই। গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্রই আমন ধানের খেতগুলো পাকতে শুরু করেছে। বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোতে আমন ধানের চারা বাতাসে দোল খাচ্ছে, দেখে মনে হয় সোনালি পাকা বিছানো রয়েছে। এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি। হাইব্রিড ৫৩০ হেক্টর, উফশী ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর, স্থানীয় ৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি। হাইব্রিড ৫৩০ হেক্টর, উফশী ৭ হাজার ২০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩ হেক্টর। উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বরুহা গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া, আবদুল আলিম, রইছ উদ্দিনসহ আরও অনেকেই জানান, জমিতে কীটনাশক ও সার ঠিকঠাক মতো প্রয়োগ করেছি। ধানের তোর বেড় হয়ে পাকতে শুরু করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমরা আমনের সর্বোচ্চ ফলনের আশা করছি। তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের সহিলাটী, দাড়িয়াপুর, দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের কৃষক আলতু মিয়া, আবদুল কাইয়ূম, লিটন মিয়া, মতি মিয়া, আবুল কালাম, আবুল কাশেমসহ অনেকেই জানান, আমনের খেতগুলো রোপণের পর থেকে ঠিকঠাক মতো পরিচর্যা করার কারণে এ বছর ধানের চারার ভালো ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায় বাকি সময়ে যদি কোনো দুর্যোগ না হয়, ভালোভাবে ধান তুলতে পারলে লাভবান হতে পারব। তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা কৃষি উপ-সহকারীরা জানান, মাঠপর্যায়ে আমন ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষকদের দেখিয়ে দিয়েছি। তাদের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা এ বছর আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছি। তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কৃষকদের আমনধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এই উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকার জমি আমন চাষের জন্য উপযুক্ত। বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধানখেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত