
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড দেশের বেশিরভাগ চিনিকল যখন টিকে থাকার লড়াইয়ে দিশেহারা, তখন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ নিট মুনাফা ঘোষণা করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১২৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো বরাবরের মতো চিনি বিভাগে ক্ষতির পরিমাণ ৬২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বিক হাসান বলেন, আমরা ২০২৪-২৫ সালে রেকর্ড মুনাফা করলেও সেটার মূল চালিকা শক্তি ছিল ডিস্টিলারি (মদ উৎপাদন বিভাগ)। চিনি বিভাগ বহু বছরের সমস্যা বহন করছে। রিকভারি রেট কম, আখের গুণগত মান নিচু এবং কারখানার কিছু পর্যায়ের যন্ত্রপাতি পুরোনো। কেরুর আধুনিকতার জন্য আমাদের ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকার আধুনিকায়ন প্রকল্পের (বিএমআরআই) কাজ চলমান।
কাজও প্রায় শেষের দিকে। নতুন কারখানা অটোমেটিক পদ্ধতিতে চালু হলে চিনি বিভাগের লোকসান কমবে বলে আশা করি। ৫ ডিসেম্বর আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধনের দিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ চিনি খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান বলেছিলেন, চিনিকল পুনরুজ্জীবনের জন্য আমরা টেকনোলজি ও উচ্চফলনশীল আখের জাত নিয়ে কাজ করছি। কেরুর আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হলে লোকসান কমবে।
চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছয়টি বিভাগের মধ্যে পাঁচটিতে লাভের মুখ দেখেছে কেরু। সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে ডিস্টিলারি (মদ) বিভাগ থেকে। শুধু এখান থেকেই আয় হয়েছে ১৯০ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।