
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার হালদা নদী ও ধুরুং খালসহ একাদিক খালের চরের উৎপাদিত সবজি পুরাদমে স্থানীয় বাজারগুলোতে আসায় সবজির দাম গত দুই সপ্তাহের আগের চেয়ে বর্তমানে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। এ নিয়ে উপজেলার বাজারে আসা সাধারন ক্রেতারা মোটামুটি কম দামে সবজি কিনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কাঞ্চননগর, সুয়াবিল, নাজিরহাট, সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাট, খিরামসহ একাদিক এলাকায় দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হালদা নদী, ধুরুং খাল, সত্তা খালসহ অন্যানো খাল। এসব খালের চরে মুলা, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক, বাটিশাক, আলু, মরিচ, শসা, বিরা, লাউ, গাজরসহ একাদিক সবজির চাষ হয়েছে। এসব শীতের সবজি পুরাদমে উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতিদিন বিকিনির জন্য নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের সবজি কিনে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এসব সবজির দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফটিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে, যেখানে ১২ হাজারের বেশি কৃষক সরাসরি যুক্ত। এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ জন কৃষককে বিভিন্ন মেয়াদে সরকারি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৫০ জন কৃষককে উন্নত জাতের লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শসা ও বেগুনের বীজ এবং ৭৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। রবিশস্য চাষে উৎসাহ দিতে আরও ৭৩০ জন কৃষককে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
নাজিরহাট হালদা নদীর চর এলাকার সবজি চাষি মো. জাহাঙ্গীর জানান, তাদের পরিবার প্রায় তিনখানি শীতকালিন সবজি চাষ করেছে। একই এলাকার চাষি মো. টিটু বলেন, শীতের আগেই সবজি জমিতে লাগিয়েছিলাম। সেগুলো এখন বাজারে বিক্রি করছি। শীতকালীন সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ হচ্ছে। গতকাল শনিবার নাজিরহাট বাজারের সবজি ক্রেতা সিরাজদৌলা চোধুরী দুলাল বলেন-হালদা চরের সবজি বাজারে আসায় মোটামুটি কম দামে সবজি ক্রয় করেছি। যা গত দুই সপ্তাহ আগেও ছিল দ্বিগুণ।
বিক্রেতা মো. জাবেদ, মো. ফারুখ বলেন- হালদার চর ও ধুরুং চরসহ উপজেলার বিভিন্ন খালের চরের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। দামেও ভাল পাচ্ছেন তারা।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সালেক বলেন- উপজেলার প্রায় ৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করায় ভাল দাম পাচ্ছে কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জাত নির্বাচন এবং পোকাণ্ডমাকড় দমনে কৃষকের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।