পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে এত কঠোর জবাব পাবে, ভাবেনি ভারত। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতের ২৬ স্থানে মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লি বলেছে, ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ৩৬ স্থানে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ভারতও পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে; তবে এ পর্যন্ত ভারতের ব্যবহার করা ৭৭টি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। সংঘাতে ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। উত্তেজনার পারদ যখন চড়া, তখন সুখবর শোনালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে দুই দেশের পক্ষ থেকে গতকাল বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পাকিস্তানের অভিযানের নাম ‘বুনিয়ানুম মারসুস’: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গত শনিবার জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী এয়ার টু সারফেস মিসাইল দিয়ে তিনটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ব্যাপক পরিসরে হামলা শুরু করেছেন তারা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুনিয়ানুম মারসুস’; যার অর্থ- ‘শিশা-ঢালা প্রাচীর’। পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে শব্দ দুটি নেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করেন, যেন তারা শিশা-ঢালা প্রাচীর।’ পবিত্র কোরআনের আলোকে এই নামের মাধ্যমে আল্লাহর জন্য যুদ্ধকারী ইসলামের অনুসারীদের ঐক্য ও শক্তির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই বাক্যাংশ ইসলামে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও অটল প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই নাম দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে, তারা সংঘবদ্ধভাবে এবং ঈমানি দৃঢ়তায় শত্রুর মোকাবিলা করছেন।
ভারতের ২৬ স্থানে মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা: ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে পাকিস্তান ২৬টি স্থানে উচ্চশক্তিসম্পন্ন মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালায়।
বারামুলা থেকে ভূজ পর্যন্ত বিস্তৃত এই হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান প্রায় ৪০০টি তুর্কি নির্মিত ‘সোনগার’ ড্রোন দিয়ে ৩৬টি স্থানে হামলা চালায় এবং ভারি কামান ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ করে। ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য হতাহত হন। নতুন হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল- জম্মু, সাম্বা, পাঠানকোট, উধমপুর, নাগরোটা, বারামুলা, শ্রীনগর, আওয়ান্তিপোরা, অমৃতসর, ফিরোজপুর, ফাজিলকা, জয়সলমের, লালগড় যতন, বর্মের, ভূজ, কুয়ার বেট ও লক্ষ্মী নালা। কাশ্মীর ও রাজস্থানের পোখরান অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ড্রোন হামলা হয়েছে শ্রীনগর বিমানবন্দর ও আওয়ান্তিপোরা বিমানঘাঁটিতেও। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আকাশে বহু ড্রোন ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণ ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ছোড়ার বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার জন্য অনেক জেলায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে এবং সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ব্লাকআউট ও সাইরেনের শব্দে ভারতের বহু জায়গায় ভূতুড়ে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পাকিস্তানের পিটিভি নিউজ বলেছে, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুসের’ অংশ হিসেবে ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিড একটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এ কারণে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে ভারতের অনেক জায়গা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, পাকিস্তান বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন। উইং কমান্ডার বিয়োমিকা সিং জানান, ভারত পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের চারটি এয়ার ডিফেন্স ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি রাডার ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। বিয়োমিকা সিং জানান, টাংধার, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি, অখনুর ও উধমপুরে হামলায় আমাদের সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, ভারতীয় বাহিনীর এক এক্স পোস্টে জানানো হয়, পাকিস্তানের বেশ কিছু ড্রোন শনিবার সকালে অমৃতসর শহরের খাসা ক্যান্ট সামরিক ঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়েছে। এসব ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
মিসাইল ডিপো, দুটি বিমানঘাঁটি ও এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোতে হামলা চালিয়েছেন। এতে ফাতেহ-ওয়ান মধ্যমণ্ডপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ভারতের বিয়াস অঞ্চলে ?দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ব্রাহ্মোস মিসাইলের ডিপো (সংরক্ষণাগার) উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভারতের উধমপুর বিমানঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস ও পাঠানকোটের বিমানঘাঁটি অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র। রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবিও করেছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এই দাবি নাকচ করেছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইসলামাবাদ যে দাবি করেছে, তা-ও অস্বীকার করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তান জানিয়েছে, ৭ মে ভারতের হামলায় কয়েকজন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। পাকিস্তান সরকার বলেছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তানের হামলায় ভারতে বহু মানুষ নিহত এবং আহত হন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি প্রাথমিকভাবে জম্মুতে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর দিলেও পরে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। হামলায় রাজৌরির জেলা প্রশাসক নিহত হন বলে এক্সে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ভারতের হামলা: এদিকে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র শনিবার জানিয়েছে, বিমান থেকে মিসাইল ছুড়ে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। কিছু মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ঘাঁটির কোনো বিমান বা অন্যান্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভারতের এই হামলার পর পাকিস্তানের পুরো আকাশসীমা মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান জানায়, যেসব বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর একটির অবস্থান দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ভারত তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো উড়োজাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যেসব বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর একটি হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি। এটি ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের আসা-যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ওই ঘাঁটি থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখন তোমরা আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা কর।’
পারমাণবিক পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান?: এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান পারমাণবিক পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বা এনসিএ’র সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এনসিএ মূলত দেশটির স্থল, আকাশ ও নৌবাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। তবে এর আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এনসিএ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনবিষয়ক মন্ত্রীও এ সংস্থার সদস্য। তবে এ ধরনের বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার।
২৪ ঘণ্টায় ৪০০ ড্রোন দিয়ে ভারতে হামলা: পাকিস্তান সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ৩৬টি স্থানে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এই স্থানগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী লেহ থেকে স্যার ক্রিক এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ভারতের সামরিক বাহিনীর উইং কমান্ডার বিয়োমিকা সিং। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শুক্রবার ভারতের হরিয়ানার রাজ্যের আম্বালা জেলায় রাতে সব আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। জেলাটিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আলো জ্বালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। বিয়োমিকা সিং দাবি করেন, পাকিস্তানের এসব ড্রোনের অনেকগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে একটি সশস্ত্র ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। জবাবে পাকিস্তানের চারটি আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা নিশানা করে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়। এসময় দেশটির একটি রাডারব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারত। তবে, পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করেছে।
উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান- শাহবাজ: ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর এবং অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় শাহবাজ শরিফ এই মতামত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এই আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ সত্ত্বেও, পাকিস্তান চরম সংযম দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতকে আজ আমরা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরীহ প্রাণের রক্তের বদলা নিয়েছি। আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী বারবার ভারতীয় আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি বিস্তারিত বিবরণীতে বলা হয়েছে, রুবিও উভয় পক্ষকে পরিস্থিতির উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুনিরের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে রুবিও বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা’ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার সময় উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন রুবিও।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি- ট্রাম্প: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই তথ্য জানান। পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সারা রাত আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কমনসেন্স ও দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।’