ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ছাগলকাণ্ড

মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের এক মামলায় জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন। গত ২১ জানুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলায় সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) চেয়ে আবেদন করেন দুদক। ওইদিন আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৭ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান লিটন এ তথ্য জানান। গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিটি মামলাতেই মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়। একটি মামলায় আসামি করা হয় মতিউর ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে।

এক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অসঙ্গিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও মালিকানা ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন লায়লা। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন মতিউর। আরেক মামলায় মতিউর ছাড়াও তার মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও লায়লা কানিজকে আসামি করা হয়।

এই মামলার এজাহারে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া অন্য মামলায় মতিউর ও তার ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে আসামি করা হয়। এই মামলার এজাহারে অর্ণবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য-প্রমাণসহ ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে মতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই অস্ত্র আইনের মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৮ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত