ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর মামলায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)। গতকাল শনিবার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহি, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন, ডিবি-দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আহসানুজ্জামান, এসআই নাফিউল ইসলাম ও এসআই সুদীপ বাছাড় একদল চৌকষ গোয়েন্দা সদস্য গুপ্তচরের সদস্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শুক্রবার রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে উল্লেখিত তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ছুরি, মোবাইল ফোন ও নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা জব্দ করা হয়। তিনি জানান, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ নামক একটি বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মির্জাপুর থানায় এমটি মামল করা হয়।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে আমরি ট্রাভেস নামক বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রীরা জানায়, রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাস নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এ সময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী, সুপারভাইজার সুমন ইসলাম ও হেলপার মাহবুব আলমকে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। গত বুধবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর গত বৃহস্পতিবার মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী মামলা করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত