পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮০ হাজার ৭২৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। গত শুক্রবার রাতে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার নির্ধারিত শেষ ফ্লাইটসহ মোট ২০৮টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ অফিসের কর্মকর্তারা।
হজ অফিসের প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সৌদি আরবে অন্তত ১৫ জন হজযাত্রী বার্ধক্যজনিত জটিলতা এবং নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে মারা গেছেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জনসহ মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালন করছেন।
হজ অফিসের একটি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজ প্রতিনিধিদল-২০২৫ এর একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় হজ পালনে হজযাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় মক্কা, মিনা ও আরাফাত ময়দানে হজযাত্রীদের জন্য সুষ্ঠু ও নিরাপদ আবাসন, পরিবহণ, খাদ্য ও অন্যান্য বিষয় নিশ্চিত করাসহ হজ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় আরও অংশ নেন সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ প্রতিনিধিদলের সদস্য, প্রশাসনিক দলের টিম লিডার, কাউন্সিলর হজ, মেডিকেল টিম লিডার, সভাপতি ও মহাসচিব (হাব), আইটি টিম লিডার ও অন্যান্য সদস্য।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হজ অফিসের পরিচালক এম লোকমান হোসেন বাসসকে জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত ১০৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ৪০ হাজার ২৪৯ জন হজযাত্রীকে বহন করেছে। অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ২৯ হাজার ১৪৪ জন হজযাত্রী বহন করেছে। এছাড়া রিয়াদণ্ডভিত্তিক ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ১১ হাজার ৩৩০ জন হজযাত্রী পরিবহণ করেছে। লোকমান হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৮০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। লোকমান হোসেন আরও বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঢাকায় সৌদি দূতাবাস বাংলাদেশি হজযাত্রীদের পাসপোর্টের বিপরীতে ৮৬ হাজার ৯৪৫টি ভিসা ইস্যু করেছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনাতেই শতভাগ ভিসা ইস্যু করা হয়। উল্লেখ্য, ৩৯৮ হজযাত্রী নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়। এ বছর আরবি চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হজ পালন শেষে হাজীদের জন্য নির্ধারিত ফিরতি ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রম ১০ জুন শুরু হয়ে আগামী ১০ জুলাই শেষ হবে।