ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

ধামরাইয়ে মাশরুম চাষে সাফল্য

ধামরাইয়ে মাশরুম চাষে সাফল্য

ঢাকার ধামরাইয়ে মাশরুম চাষ করে সাড়া ফেলেছেন উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জহিরুল ইসলাম। মাত্র ২০০ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। বর্তমানে মাসে আয় ৮০ হাজার টাকা। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কাঙ্ক্ষিত ফলনে ফুটেছে মুখে হাসি হয়েছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি কাঠের ঘরে সারি সারি সাজানো রয়েছে মাশরুমের স্পন। মাসরুম চাষের এই ঘরটি ধামরাইয়ের মাশরুম চাষি জহিরুল ইসলামের।

জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৮ বছর আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০ টাকা পুঁজিতে ১০ থেকে ১২টি স্পন নিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। সেগুলো থেকে ভালো মাশরুম পাওয়ায় নতুন করে আরও স্পন কিনে আনেন তিনি। প্রথম দিকে ছোট আকারে মাশরুমের প্যাকেট করে ঘুরে ঘুরে সাভারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি করতেন। সময়ের সঙ্গে এখন তার ফার্মে রয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি স্পন। এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১০ শতাংশ জায়গায় গড়ে তুলেছেন মাশরুমের ফার্ম। সেখানে ৩০০টি বেড থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ কেজি মাশরুম। যা কেজি প্রতি বিক্রি হয় আড়াইশ’ থেকে ৪০০ টাকায়। সব খরচ শেষে মাসে তার আয় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কাঠের গুড়া, গমের ভুসি, ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও পানি একত্র করে একটি পলিতে নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে মাশরুমের স্পন তৈরি করা হয়। জহিরুল মাশরুম বিক্রির পাশাপাশি এখন স্পন বিক্রি করেও বেশ টাকা আয় করেন। জহিরুলের সফলতা দেখে এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন বিভিন্ন গ্রামের ৩০ জন উদ্যোক্তা। এতে বদলাচ্ছে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা। কাজের সুযোগ মিলছে অনেকের। জহিরুলের সফলতা দেখে উদ্যোক্তা হয়েছেন সুমন খান তিনি বলেন, প্রথমে আমি খাওয়ার উদ্দেশ্যে মাশরুম নিতে আসি জহিরুল ভাইয়ের কাছে। আমি তার উদ্যোগ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে কয়েকটি স্পন নিয়ে যাই। তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করি। আমার মতো ৩০ জন নতুন খামারি আছেন। আমার এখন মাসে আয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরিফুর রহমান বলেন, অল্প পুঁজিতে মাশরুম চাষ করে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই খাতের মাধ্যমে বেকার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। উপজেলা কৃষি বিভাগ মাশরুম চাষিসহ সব কৃষকদের আধুনিক কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত