নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গতকাল সমাপ্ত হলো ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, কুইজ, বিজ্ঞান নাটিকা সায়েন্স শো। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ৭ শতাধিক প্রতিযোগী গত ৩ দিন ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী, তরুণ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিক্ষক ও অভিভাবক মিলে প্রায় সহস্রাধিক অতিথির পদচারণায় মুখরিত ছিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবন। গতকাল সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘বর্তমানের উন্নত বিশ্ব এবং আধুনিক জীবনব্যবস্থার মূলে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন বিজ্ঞান চর্চা বাড়ছে এবং পূর্বের চেয়ে বর্তমানে তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এ আত্ববিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারলে এ তরুণ প্রজন্মই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় একসময় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা ২০২৫ এর সার্বিক আয়োজন সম্পর্কে বিজ্ঞান জাদুঘরের পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘১৯৬৭ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ৬০ বছরের পথ পরিক্রমায় বিজ্ঞান জাদুঘর সমগ্র দেশজুড়ে এর কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়েছে। প্রতি বছর দেশের ৬৪টি জেলার তৃণমূল পর্যায় থেকে অর্থাৎ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ ও নানাবিধ বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিতভাবে বিজ্ঞান বিষয়ক সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।’ আগারগাঁওস্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ১৮০টি স্টলে উপস্থাপনকৃত নির্বাচিত প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন করেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিজ্ঞান মেলার প্রকল্পে সিনিয়র, জুনিয়র ও বিশেষ গ্রুপে মোট ২৪ জন, বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় ৯ জন এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় ১০ জন শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন। সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি