চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে নেই লিটন দাস। ছন্দ হারানোয় কোপটা পড়েছে তার ওপর। বাদ পড়ার দিনই অবশ্য বিপিএলে সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চিনিয়েছেন লিটন। টুর্নামেন্টের আগে পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় এখনও বাংলাদেশ দলে ফেরার সুযোগ আছে তার। লিটনের বাদ পড়ায় মন খারাপই হয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালসে তার সতীর্থ তানজিদ হাসান তামিমের। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বললেন সে কথা। পাশাপাশি লিটন দ্রুত দলে ফিরবেন বলেও আশাবাদী তামিম, ‘ভালো না খেললে আমাদের বাদ পড়তে হবে। এটা আমাদের সবারই মেনে নিতে হবে। দাদা (লিটন) কেমন ব্যাটার এটা আমরা সবাই জানি। আমি নিজেও উনার একজন বড় ফ্যান। অবশ্যই সেদিক থেকে আমারও মন খারাপ যে উনি দলে নেই। আশা করব যে, তাড়াতাড়ি.. উনি যেভাবে শেষ দুটি ম্যাচ খেলেছেন আপনারা দেখেছেন যে উনার আত্মবিশ্বাসও অনেক উঁচুতে।’
লিটনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিটা ক্রিজের অপর পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছিলেন তামিম। প্রিয় ব্যাটারটির এ ধরনের আরও ইনিংসের প্রত্যাশায় তিনি, ‘আশা করি সামনের ম্যাচগুলো উনি আরও ভালো খেলবেন। আমি অনেক ভাগ্যবান। কেননা, আমি উনার বড় ভক্ত। ওইপাশ থেকে উনার ব্যাটিং দেখাটাও একটাৃ আমি অনেক উপভোগ করেছি উনার ব্যাটিং। চোখ জুড়ানো সব শটগুলো।’ বিপিএলে একটাই জয় পেয়েছে ঢাকা। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন ও তামিম। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলো জেতার যে বিকল্প নেই সেটাই জানালেন তরুণ এই ওপেনার, ‘আমাদের আর পাঁচটা ম্যাচ আছে। পাঁচটা ম্যাচের মধ্যে আমাদের সব জিততে হবে। ডু অর ডাই ম্যাচ আমাদের জন্য সবগুলো। চেষ্টা থাকবে যে পাঁচটা ম্যাচ আছে টুর্নামেন্টে, সেখানে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোবো। কালকে যে খেলা আছে আমরা শুধু এটায় ফোকাস করতে চাই।’ গত বিপিএলে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। এবারও কী প্রিয় ভেন্যুতে তিন অঙ্কের ইনিংস পাবেন? এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে জানালেন, ‘আমি আসলে কখনও এরকম চিন্তা করি না যে, সামনে কয়টা (সেঞ্চুরি) করব, না করব। সবসময় চেষ্টা থাকে সেরাটা দিয়ে দলে অবদান রাখতে। একই পরিকল্পনা থাকবে। যদি হয়ে যায় কপাল (হাসি)।’