ঢাকা ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবশেষে নাসুমের প্রতীক্ষার অবসান

অবশেষে  নাসুমের প্রতীক্ষার অবসান

গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেকে চেনাতে পারছিলেন না নাসুম আহমেদ। কয়েকটি ম্যাচে মোটামুটি বোলিং করেছেন, কয়েকটি ম্যাচে ছিলেন বিবর্ণ। উইকেট ধরা দিচ্ছিল না প্রত্যাশিতভাবে। অবশেষে সেই সময়টা পেছনে ফেলে দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি এলিমিনেটর ম্যাচে। দলকে কোয়ালিফায়ারে তুলে ম্যাচণ্ডসেরা হয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার বললেন, বেশ কিছু দিন ধরেই এমন কিছুর প্রতীক্ষায় ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টের আগের ১০ ম্যাচে নাসুমের উইকেট ছিল স্রেফ আটটি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন আটের বেশি। তবে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার ৯ উইকেটের জয়ে ভিত গড়ে দেন তিনি। ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার পান ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।

খুলনার জয়ে বড় অবদান ছিল এ দিন নাসুমের নতুন বলের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজও। স্রেফ ১০ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন খুলনার অধিনায়ক। তবে রান বেশি দিলেও ম্যাচের সেরা নাসুমই। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তিনি আউট করেন জেমস ভিন্স ও শেখ মেহেদি হাসানকে। নিজের বলে ভিন্সকে ফেরানো ক্যাচটি ছিল দুর্দান্ত। পরে তিনি বিদায় করেন বিপজ্জনক টিম ডেভিডকেও। বিপিএলে ম্যাচণ্ডসেরা হয়েছিলেন তিনি আগে স্রেফ একবার। ২০২২ আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। তিন বছরের বেশি সময় পর আবার এই স্বীকৃতি পেয়ে তিনি বললেন, অনেক দিন ধরেই এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। ‘অনেক দিন ধরে চাচ্ছিলাম যে, একটা ম্যান অব দা ম্যাচ যেন হতে পারি। কিন্তু হচ্ছিল না। আজকে হয়েছে। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া।’ রংপুর রাইডার্স এই ম্যাচের জন্য শক্তি বাড়িয়েছিল জেমস ভিন্স, আন্দ্রে রাসেল ও টিম ডেভিডকে দলে যোগ করে। সকালে ঢাকায় এসে দুপুরে ম্যাচ খেলতে নেমে যান তিন তারকা। নাসুম জানালেন, তাদের থামাতে খুব বেশি পরিকল্পনাও করতে পারেনি খুলনা। ‘ওদের তিনজন বিদেশি যে খেলছে, আমরা তা আগে জানতাম না। তারা আসছেন, এটা শুনেছিলাম। তবে ওভাবে পরিকল্পনাও করতে পারিনি। তবে এই উইকেটে বিদেশির বিপক্ষে বোলিং করতে ভালোই লাগে আমার।’ ভিন্স ৭ বলে করেছেন ১ রান, ৯ বলে ৭ করে আউট হয়েছেন ডেভিড, ৯ বলে ৪ রাসেল। রংপুরকে মাত্র ৮৫ রানেই গুটিয়ে দেন নাসুমরা। ফাইনাল থেকে এখন স্রেফ একটি ম্যাচ দূরে আছে খুলনা। যদিও তাদের প্লে-অফে খেলাই ছিল চরম অনিশ্চয়তায়। প্রাথমিক পর্বের শেষ দুটি ম্যাচই জিততে হতো তাদের। অধিনায়ক মিরাজ বলেছিলেন, প্লে-অফের আগেই তাদের নকআউট শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই দুটি ম্যাচ জিতে প্লে-অফ জিতে এখন তারা ফাইনালের ছবি আঁকতে শুরু করেছেন। ‘দুই ম্যাচ আগে থেকেই আমরা নক আউট খেলছি। সব দলই চায় সেমি-ফাইনাল, ফাইনাল খেলতে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল শীর্ষ চারে থাকা। এখন এলিমিনেটর ম্যাচটা যখন জিতেছি, পরের ম্যাচও জেতার জন্য খেলব। সবাই তো ফাইনাল খেলতে চায়। আমাদেরও স্বপ্ন আছে। এই বিশ্বাসটা নিয়েই গত তিন ম্যাচ খেললাম।’ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা খেলবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের সঙ্গে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত