ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাবাডিতে একনায়কতন্ত্র

কাবাডিতে একনায়কতন্ত্র

কাবাডির অ্যাডহক কমিটিতে এসেই একের পর এক স্টান্টবাজি করেই চলেছেন সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। কখনো নিজের পাওনা দাবি করছেন। কখনো নেপালের মতো দেশে কাবাডি লিগে ছেলেদের খেলিয়ে নিজেকে জাহির করছেন। সেখানে খেললেও এখনো অর্থ পাননি খেলোয়াড়রা। আবার কখনো ৫১ বছর পর কাবাডি টেস্ট সিরিজ আয়োজনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারিত করার চেষ্টা করছেন। যার কিছু তথ্য এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অ্যাডহক কমিটিতে এলেও গত বছরের ডিসেম্বরে ছয়মাসের পঞ্জিকা ঘোষণা করেন সোহাগ। হয়তো তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই কমিটির স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদি! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাবাডি টেস্ট সিরিজের কথা বললেও দ্বীপ দেশটি আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় নেপালকে আনা হয়। র‍্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে কয়েকধাপ নীচের সারির দলটিকে এনেও হোয়াইটওয়াশ করতে পারেননি সোহাগ। বরং ফি ম্যাচেই বাজে রেফারিংয়ের জন্য নেপালি খেলোয়াড়দের বিষোদ্গার শুনতে হয়েছে স্বাগতিকদের। নেপালের কোচ ক্ষোভ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশকে ৩-০ সিরিজে হারাব।’ দেশে ৫১ বছর পর কাবাডি টেস্ট সিরিজের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতাড়িত করেন সোহাগ। ১৯৭৪ সালের পর নাকি এটাই ছিল দ্বিতীয় কাবাডি টেস্ট সিরিজ। কিন্তু এই প্রতিবেদকের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী ২০০৪ সালেও বাংলাশে-ভারত ছয় ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। ১৯৭৪ সালের দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা ঘেটে দেখা যায় সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘প্রদর্শনী কাবাডিতে ভারতের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের বিজয়’। নিউজে লেখা রয়েছ, প্রথম প্রদর্শনী ম্যাচে টাঙ্গাইল কাবাডি দল ৩০-১৭ পয়েন্টে ভারতীয় কাবাডি দলকে পরাজিত করিয়াছে।’ তার মানে টাঙ্গাইলের স্থানীয় দলের বিপক্ষেই খেলেছে ভারতীয় জাতীয় দল। ২০০৪ সালেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ওই সময়ে খেলা একজন খেলোয়াড়ের সার্টিফিকেট এই প্রতিবেদকের হাতে। এরপরও ২০০৪ সালের টেস্ট সিরিজকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ সোহাগ।

নিজেরা ফ্রাঞ্চাইজি লিগের আয়োজন করতে ব্যর্থ হলেও নেপালকে সহযোগিতা করেছেন সোহাগ। লাল সবুজের কাবাডি ধ্বংসের অন্যতম নায়ক ভারতীয় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর প্রাসাদ রাওয়ের অনুরোধের ঢেঁকি গিলে নেপালে ছয়জন খেলোয়াড়কে পাঠিয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক। অ্যাস্ট্রিওনিক্স ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কর্মকর্তা সরোজ লামসালের মাধ্যমে নেপালে খেলে আসার প্রায় দেড় মাস হতে চলল এখনো চুক্তির এক লাখ টাকা করে পাননি কেউই। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেণ একধিক খেলোয়াড়। ফেডারেশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত সাত বছরে কাবাডিতে আসা অ্যাডফার্মের কর্ণধার সোহাগের সকল পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। সে মতে অডিটও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা দিয়েছে কাবাডি ফেডারেশনের আগের কমিটি। কিন্তু তারপরও নাকি ফেডারেশন থেকে স্বঘোষিত পাওনা বাবদ ৯০ লাখ টাকা নিতে এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন সোহাগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত