প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত স্বর্ণ জয়ের সুবাদে ২০২৫ সালে ফোর্বস ‘৩০ আন্ডার ৩০’ দক্ষিণ এশিয়ার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার আরশাদ নাদিম। ফোর্বসের মর্যাদাপূর্ণ বার্ষিক তালিকাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী তরুণ নেতা, উদ্ভাবক এবং পরিবর্তন আনয়নকারীদের স্বীকৃতি দেয়।
নাদিমের অন্তর্ভুক্তি শুধু তার রেকর্ড-ব্রেকিং এ্যাথলেটিক কৃতিত্বকেই তুলে ধরেনি, বরং দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তার ক্রমবর্ধমান সাংস্কৃতিক প্রভাবকেও তুলে ধরেছে। ২৮ বছর বয়সী নাদিম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম পাকিস্তানি এ্যাথলেট হিসেবে এই সম্মান অর্জন করলেন। বিশ্ব মঞ্চে কোনো পাকিস্তানি ক্রীড়াবিদের জন্য এটি একটি মাইলফলক। প্যারিস অলিম্পিকে ৯২.৯৭ মিটার রেকর্ড দূরত্বে জ্যাভলিন পাঠিয়ে নাদিম পুরো বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এর মাধ্যমে প্রথম কোন পাকিস্তানি এ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণজয়ের কৃতিত্ব দেখান নাদিম।
একইসঙ্গে পাকিস্তানের তিন দশকের স্বর্ণ পদকের খরাও শেষ হয়েছে। ফোর্বস নাদিমের পারফরম্যান্সকে ‘অত্যাশ্চর্য প্রদর্শন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং দক্ষিণ এশীয় ক্রীড়াবিদদের জন্য একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে তার প্রশংসা করেছে। সম্প্রতি নাদিম পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এশিয়ান এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপেও স্বর্ণ পদক জয় করেছেন।
এর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছেন। এ পর্যন্ত বড় কোনো আসরের চারটি স্বর্ণ পদক জয় করেছেন নাদিম। এই ইভেন্টে নাদিমকে এখন পুরো বিশ্বই সমীহ করা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ হিসেবে ফোর্বসের ‘৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় নাদিমের সঙ্গে আরও রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু কেইলি ম্যাককিওন ও ভারতের ১৯ বছর বয়সী গ্র্যান্ডমাস্টার গুকেশ ডোমারাজু। ২০২২ সালে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম স্বর্ণ পদক জয় করেছিলেন নাদিম। এরপর বুদাপেস্টে ২০২৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে রৌপ্য পদক লাভ করেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নাদিম এ পর্যন্ত চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্চ পদক জয় করেছেন।