ঢাকা শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সেমিফাইনালে থামল যুবাদের স্বপ্নযাত্রা

সেমিফাইনালে থামল যুবাদের স্বপ্নযাত্রা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টানা দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের যুবারা। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পা রেখেছিল লাল সবুজের তরুণরা। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে সঠিক পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আর খেই হারিয়ে ফেলেন টাইগার যুবারা। প্রতিপক্ষের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল তাদের ব্যাটিং। দাপুটে জয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গতকাল দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশক ৮ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। বৃষ্টি বাধায় ২৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে যেমন ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন ছিল, সেটার ধারেকাছেও ছিল না বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীতে পুরো ওভারই খেলতে পারল না তারা, গুটিয়ে গেল স্রেফ ১২১ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে এদিন ফিফটি করতে পারেননি কেউ। একটি করে ছক্কা-চারে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন আটে নামা সামিউন বাশির। ইনিংসে দুই অঙ্কই স্পর্শ করতে পারেন মোটে তিনজন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে স্রেফ ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আবদুল সুবহান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে ডানহাতি এই পেসারের হাতে। অবদান কম নয় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৬টি চারে ৫৭ বলে ৬৯ রান করা ওপেনার সামির মিনহাসের। তার নৈপুণ্যেই ৬৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

একই দিন অন্য সেমিফাইনালে ২০ ওভারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দেয় ভারত। লঙ্কানদের ১৩৮ রান ১২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা। দশমবার যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল উঠল ভারত। আগামী রোববার শিরোপার মঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। এনিয়ে তৃতীয় বার ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে দল দুটি।

আসরে একই গ্রুপে ছিল ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন হানা দেয় বৃষ্টি। একটা সময় শঙ্কা জাগে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত ওভার কমিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই।

যেখানে কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে পঞ্চম ওভারে ফিরে যান রিফাত বেগ। একটি করে ছক্কা-চারে ১৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি। আগের তিন ম্যাচে ৯৬, ৭০*, ৪৯ রান করা জাওয়াদ আবরার এবার দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি। একটি ছক্কা মেরেই বেজে যায় তার বিদায়ঘণ্টা। আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকি জুটি গড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের বন্ধন। একটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান করা আজিজুলকে কট বিহাইন্ড করে দেন সুবহান। পাঁচ বল পর এই পেসার ভেঙে দেন ৮ রান করতে ২৩ বল খেলা কালামের স্টাম্প। নিজের পরের ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে বোল্ড করেন সুবহান। শেখ পারভেজ জীবন, ফরিদ হাসান পারেননি দলের হাল ধরতে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে দলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন সামিউন।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই হাজমা জহুরকে কট বিহাইন্ড করে দেন ইকবাল হোসেন। কিন্তু এরপর দীর্ঘক্ষণ আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ৪ বলে ১ রান করা সামির দ্বিতীয় ওভারে সাদ ইসলামকে চার মেরে ডানা মেলে দেন। ওই ওভারেই একটি ছক্কা মারেন তিনি। তার সঙ্গে দ্রুত রান বাড়ানোয় যোগ দেন উসমান খানও। সাদকে দুটি চারের পর ইকবালকে ছক্কায় উড়ান উসমান। দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে একাদশ ওভারে বিদায় নেন উসমান। দুটি করে ছক্কা-চারে ২৬ বলে ২৭ রান করে সামিউনের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তাতে ভাঙে ৮৪ রানের জুটি। ওই ওভারেই সামিউনকে চার মেরে ৩৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সামির। আহমেদ হুসাইনকে নিয়ে নিরাপদে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত