রাজপথে সরব উপস্থিতি রাখা বিএনপির নিবেদিত কর্মী চাঁদপুর শহরের সেন্টু গাজী একটু সহায়তা পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবেন। তিনি জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা কমিটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
১৭ মে শনিবার রাতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের আর্থিক দৈন্যদশা তুলে ধরেন।
জানা যায়, সেন্টু গাজী(৪০) হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বকুলতলা গ্রামের হাকিম গাজী ও লতুবা বেগমের ছেলে। বর্তমানে স্ত্রীসহ তার চিলেকোঠাময় একটি ঘরের সংসারে গণি স্কুলে পড়ুয়া এক ছেলে এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক কন্যা সন্তান রয়েছে। টাকার অভাবে সাংগঠনিক কাজও তিনি অনেকটা ধীর গতিতে চালাচ্ছেন। জেলা বাস্তুহারা কমিটির এই নেতা সেন্টু গাজী বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে দীর্ঘদিন যাবৎ সংগঠন করছি। গেলো ১৫/১৬ বছরে কত রকমের যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। এখন নতুন বাংলাদেশে একটু স্বস্তিতে বাঁচতে চাই এবং সংগঠনকে এগিয়ে নিতে চাই।
সেন্টু গাজী বলেন, আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে সাবলম্বী করা এবং যাদের বাড়ীঘর নেই তাদের নিয়ে কাজ করে থাকি। আমি প্যাডেল চালিত রিক্সা চালাচ্ছি। এখন খুব অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। আমার ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরছ চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমার একটা নতুন অটো গাড়ী হলে সংসারটা ভালো চালাতে পারতাম। বেশ কয়েকটি উপজেলার কমিটিও গুছিয়ে রেখে একটি মিটিং করার মতো অবস্থায় না থাকায় সাংগঠনিক কাজও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। যদি জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাই আমার এই দৈন্যদশার কথা শুনে আমাকে স্বাবলম্বী করতে একটি অটো বাইকসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে এগিয়ে আসেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকতাম। একই সাথে প্রশাসনের কাছেও আমাকে আর্থিকসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য করজোড়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।