ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সংগঠনের ১২ জন নিহত

পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সংগঠনের ১২ জন নিহত

পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং ২ জন সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, শনিবার ও রোববার পাক সেনার সাথে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান গ্রুপ এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান (আইবিও) পরিচালিত হয়েছে।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াত জেলায় একটি অভিযান চালানো হয়, যেখানে সেনারা শত্রুর অবস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং “পাঁচজন ভারতীয় স্পনসরড” সন্ত্রাসীকে “নরকে” পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ওই জেলায় আরও একটি অভিযানে দুই “ভারতীয় স্পনসরড” সন্ত্রাসী “সফলভাবে নিষ্ক্রিয়” হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাত

এছাড়া উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলীর জেনারেল এলাকায় আরেকটি ঘটনায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালালে সেনাদের প্রতিক্রিয়ায় দুই "ভারতীয় মদদপুষ্ট" সন্ত্রাসীকে "নরকে পাঠানো হয়" বলে জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর আরও বলেছে, তীব্র গুলি বিনিময়ের সময় দুই সাহসী সন্তান, সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি (বয়স ২৯ বছর, কুর্রাম জেলার বাসিন্দা) এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (বয়স ৩২ বছর, কোহাট জেলার বাসিন্দা) বীরত্বের সাথে লড়াই করে চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করে শহিদ হন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথমে বেলুচিস্তানে সংঘর্ষ বাঁধে। আওরান জেলার গিশকুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবস্থানে সেনারা সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তীব্র গুলি বিনিময়ে "ভারত-স্পন্সর সন্ত্রাসী ইউনাস" নিহত হয়। কেচ জেলার তুরবাত সিটিতে আরেকটি সংঘর্ষে দুই ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীকে সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী জাতির সাথে তাল মিলিয়ে বেলুচিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতি নষ্ট করার ভারতীয় প্রক্সিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

পাক প্রধানমন্ত্রীও শেহবাজ শরীফও অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাদের পেশাদার দক্ষতা ও “ভারতীয় এজেন্ডার” বিরুদ্ধে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাদের প্রশংসা করেছেন।

পাকিস্তানি,সংঘর্ষ,ভারতীয় প্রক্সি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত