অনলাইন সংস্করণ
১৬:৫৪, ০১ জুন, ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং ১৪ দলীয় জোটকে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতোই বিবেচনা করা যেতে পারে। রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র ১৩৫ পৃষ্ঠার মূল অংশ এবং ১৩টি ভলিউমে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পৃষ্ঠার তথ্য-প্রমাণে গঠিত। এতে গুম, খুন, নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশব্যাপী চালানো হত্যাযজ্ঞে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব, পরিকল্পনা এবং নির্দেশনার কথা তুলে ধরা হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, এসব অপরাধে ‘গ্যাং অব ফোর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। তাদের সমন্বিত নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে নানা মানবতাবিরোধী কাজ। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ দলীয় জোট, যার অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে—আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ মোট ১৪টি দল—তাদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, এটি কোনো প্রতিশোধমূলক বিচার নয়; বরং তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে একটি দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের উদ্যোগ। তিনি বলেন, এ বিচার যেন ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সহায়ক হয়, সেটিই মূল লক্ষ্য।
এদিন ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আবেদন জানানো হয়। ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ জুন।
