ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

চকরিয়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কক্সবাজারের চকরিয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে ব্যস্ততম সময় পার করছেন কৃষক। এ বছর বোরো মৌসুমে ১৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বিক মনিটরিং করছেন। ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার কৃষকরা ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন, আবার কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা ও বাঘগুজারা পয়েন্টে স্থায়ীভাবে নির্মিত দুটি রাবার ড্যাম থেকে ফুলানো পানি এবং নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে মিঠাপানি তুলে কৃষকরা অবাধে চাষাবাদ করছেন। এ বছর নদীতে মিঠা পানির প্রবাহ বেশি থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পূরণ হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। সরেজমিনে দেখা গেছে, হারবাং, বরইতলী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমু বিলছড়ি, ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিংগা, সাহারবিল, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, পশ্চিম বড় ভেওলা, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, বদরখালী ও চকরিয়া পৌর এলাকায় পুরোদমে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এ সব জমিতে ব্রি-ধান ৯২, ৭৪, ৮৭ ও ১০০ জাতের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক উপশী জাতের চেয়ে হাইব্রিড জাতের ধান চাষে বেশি আগ্রহী, কারণ এতে ফলন বেশি হয়। বরইতলী ইউনিয়নের উপরপাড়া এলাকার কৃষক রুহুল আমিন বলেন, তিনি জমির মালিকের কাছ থেকে ২ একর জমি অগ্রিম লাগিয়ত নিয়ে চাষাবাদ করছেন। ট্রাকটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে জমি প্রস্তুত করে বর্তমানে শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণ করছেন।

তিনি জানান, গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ছরাখালে শুকনো মৌসুমে পানির প্রবাহ কম থাকায় সেচের সমস্যা বেশি হয়। কৃষকরা নিজেরাই মাটির বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ করে শ্যালো মেশিন বসিয়ে চাষাবাদ করছেন। এতে প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে সেচ খরচ ৩,৫০০ টাকা দিতে হয়।

রুহুল আমিন এ বছর বিআর ব্রি-ধান ৭৪ জাতের ধান রোপণ করেছেন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে আশা করেন। চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম নাসিম হোসেন বলেন, এ বছর চকরিয়া উপজেলায় ১৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং মাতামুহুরী নদীতে মিঠা পানির প্রবাহ ভালো থাকায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ভালো ফলনেরও আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত