ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পটিয়ায় ব্যস্ত কামাররা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পটিয়ায় ব্যস্ত কামাররা

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পটিয়ায় শাণায়ের কাজে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা। দম ফেরার সময় নেই বললে চলে কামার শিল্পীদের। রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আগামী ৭ জুন শনিবার মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। বছর ঘুরে বছর আসে। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস, উৎসব ও কোরবানি গরু কেনার ধুম পড়েছে। কোরবানির ঈদের দিন আল্লাহ নৈকট্য লাভের আশায় ত্যাগ করা পশুকে জবাই করতে প্রযোজন যন্ত্রের। তাই মানুষ ছুটছেন কামারশালায়। সারাবছর ব্যস্ততা না থাকলেও কোরবানির ঈদে অপহিার্য ছুরি, দা, দামাসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজারের কামারের দোকান গুলোতে। তাই দিন-রাত তৈরি করছেন নানা যন্ত্রপাতি। পটিয়া পৌরসভার নতুন থানার হাট এলাকায় প্রায় ৬টি দোকানে গেলেই চোখে পড়ে কামার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা। তারা গরম লোহা পিটিয়ে তৈরি করছেন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতিসহ পশু কোরবানিতে ব্যবহারের নানা ধরণের ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি, দামা। কামার শিল্পীদের বেশিভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের।

এ ঈদকে সামনে রেখে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন হাটে কোরবানি পশু ক্রয় বিক্রয়ে উৎসবে পরিণত হয়েছে। তার সাথে জমে উঠেছে কামার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা। কামারের দোকানে কেউ আসছে দা, ছুরি, চাপাতি, কিরিচ, বটিঁ ক্রয় করতে আবার কেউ আসছে পুরাতন দা, ছুরি, কিরিচসহ লোহা জাতীয় নানা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি শাণ করার জন্য নিয়ে আসছে। এক একটি যন্ত্রপাতি বিক্রয় করছে দ্বিগুণ বেশি দামে।

সরেজমিনে দেখা যায়- পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা তার মধ্যে প্রায় ১৫-২০টি হাট রয়েছে। উক্ত হাটগুলোতে কামার শিল্পীরা কোরবানি পশু জবাই করার জন্য ছুরি, দা, চাপাতি, বঁটি, কিরিচ, দামাসহ দিন রাত তৈরি করেন নানা যন্ত্রপাতি। পৌরসভা ও উপজেলা হাটগুলো হলো- পৌরসদরে নতুন থানা হাট, মুন্সেফ বাজার, পুরাতন থানা হাট, আমজুর হাট, কমল মুন্সিহাট, অলি হাট, শান্তির হাট, ফাজিল হাট, কান্তির হাট, মহাজন হাট, ত্রিপুরা দিঘির হাট, দেওয়ান হাট, দারোগা হাট, মৌলভী হাট, ধলঘাট ক্যাম্প, আশিয়া বাংলা বাজার, বুধপুরা বাজার, কাজির হাট, ভট্টাচার্য হাট, মইজ্জরটেক, ফকিনীহাট ।

তাদের অনেকেরই পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এ পেশা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে অপেক্ষায় থাকেন মুসলমানদের এ ধর্মীয় উৎসবের জন্য। কামার শিল্পী অসিত দাশ জানান, বছরের বেশিভাগ সময় কাজ না থাকায় অলস দিন কাটাতে হয়। ফলে ওই সময় কোনো উপার্জন না থাকায় বহু কষ্টে ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন যাপন করতে হয়। ঈদুল আজহা এলেই হাতে কাজ বেড়ে যায়। বছরে ছয় মাস কাজ করে যে উপার্জন হয়, ঈদুল আজহার সময় প্রায় দ্বিগুণ উপার্জন হয়। তাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা বছরের ঘটতি পোষাতে নিরলস পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন কামার শিল্পীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত