
যশোরে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় চঞ্চল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ সময় তার বাবা মধু গাজীকে ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ডাকাতিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন, রবিউল ইসলাম ও রবিউলের ছেলে মুন্না। তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছুরিকাহত মধু গাজী জানান, রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্ব এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা চলে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলে চঞ্চল হোসেন তাদের ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চঞ্চল ডাকাতিয়া গ্রামের ডাক্তার ইসরাইল হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল।
এ সময় রবিউল বিল্লাল ও মুন্নাসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তিনি (মধু গাজী) এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী তিনজনকে মারধরে জখম করে। এদিকে, স্থানীয়রা আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির কিছু সময় পর চঞ্চলের মৃত্যু হয়। বাকি চারজন পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোবাশ্বের হাসান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়া পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে চঞ্চল হোসেন নামে একজন মারা গেছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মনির হোসেন জানান, ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়ার জেরে গোলযোগে চঞ্চল হোসেন খুন হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গোলযোগে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ছুরিকাঘাতে বাবা ছেলেসহ পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চঞ্চল নামে একজন মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পুলিশের হেফাজত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।