
মুন্সীগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় জেলা পর্যায়ে মিডিয়াকর্মীদের অংশগ্রহণে ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন’ বিষয়ক দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে এ আয়োজন করা হয়। কর্মশালার শুরুতে টাইফয়েড টিকাদানের অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার রহিমা আক্তার।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. জসীমউদ্দিন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬ উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী চলবে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার শিশু-কিশোরকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৮৫ হাজার ৬৪৬ জন, টঙ্গীবাড়িতে ৭০ হাজার ৪৭৩ জন, সিরাজদিখানে ৮৮ হাজার ৭২৭ জন, শ্রীনগরে ৯০ হাজার ৫১ জন, লৌহজংয়ে ৫০ হাজার চারজন ও গজারিয়ায় ৫০ হাজার ৪৭৭ জন ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় ৩৩ হাজার ৪৪৮ জন। মোট ১ হাজার ৬৭৩টি কেন্দ্র থেকে টিকা প্রদান করা হবে।
এরমধ্যে সদরে ২৭৩টি, টঙ্গীবাড়িতে ২২৩টি, সিরাজদিখানে ৩৭৪টি, শ্রীনগরে ৩১৬টি, লৌহজংয়ে ২৫৮টি, গজারিয়ায় ১৩০টি ও পৌরসভায় ৯৯টি কেন্দ্র। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি শিশু যেন টিকাদান সেবার আওতায় আসে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের ১ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।