
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট চলায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাবে অফিসের নিয়মিত কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অফিস সূত্রে জানা যায়, দপ্তরটিতে মোট ৭টি অনুমোদিত পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। দীর্ঘদিন ধরে সুপার, অডিটর ও জুনিয়র অডিটরের পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে একজন অডিটর একাই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, ফলে তার ওপর পড়ছে বাড়তি কাজের চাপ। জনবল কাঠামো অনুযায়ী, অফিসটিতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা একজন, সুপার একজন, অডিটর দুইজন, জুনিয়র অডিটর একজন, টাইপিস্ট একজন এবং অফিস সহায়ক একজন থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, একজন অডিটর, কম্পিউটার কাম মুদ্রাক্ষরিক এবং একজন অফিস সহায়ক মোট চারজন।
অফিসের কম্পিউটার কাম মুদ্রাক্ষরিক আল মামুন বলেন, কেন্দুয়াতে কেউ আসতে চায় না। আমরা চারজন থাকলেও অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। হয়তো ১৫ মিনিটের কাজ শেষ করতে আধাঘণ্টা সময় লাগছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, কেন্দুয়া একটি বড় উপজেলা। কাজের চাপ অনেক বেশি। শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। আমি লিখিত ভাবে আমার ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ কে জানিয়েছি। তারপরও কষ্টসাধ্য হলেও আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। জনবল সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, সরকারি এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেওয়া না হলে দাপ্তরিক কার্যক্রম আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।