বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দুশমন এই যুগের লেডি ফেরাউন শেখ হাসিনা বিগত পঞ্চাশ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। শেখ হাসিনার নিজের পতন আগে থেকে বুঝতে পেরেই এদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে যাদের জন্য কাজ করেছিল তাদের কোলে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। খেলাফতে মজলিসের আমির ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আচরণ করতে হবে। শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বললে মুক্তিযোদ্ধা আর বিপরীত বললে রাজাকার হয়ে যেত। আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের উপর বেশি জুলুম করেছে। জুডিশিয়াল হত্যাকাণ্ড চালিয়ে গুম খুন করেছে। শেখ হাসিনা সেই কাজ করেছে যে কাজ আবু জাহেল আবু লাহাব করেনি। এ কারণে শেখ হাসিনাকে যদি ক্ষমা করা হয় তাহলে বাংলার মানুষ কোনোদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। এজন্য শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানান আল্লামা মামুনুল হক। কক্সবাজারে বিশাল সমাবেশে খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাত্রলীগের মতো নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের জমিনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা তার পোষা হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনী ও অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী দিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অগ্রনায়ক বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করতে হাসিনা ও তার স্বজনরা ব্যাংক লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান মুছে ফেলতে হবে। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন সংবিধানে সংযোজন করা যাবে না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এই গণসমাবেশের ডাক দেয়। খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির আল্লামা আলী ওসমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতা উল্লাহ আমির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ প্রমুখ।