ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু এক

একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু এক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৬ জনসহ দেশে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনে। সেইসঙ্গে করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগে গতকাল (১৪ জুন) ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তবে সেদিন ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু হয়নি।

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি চট্টগ্রামে চলতি বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত। গত শনিবার নগরীর চারটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গতকাল রোববার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৫০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। এতে ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ জনের পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৯ জনের পরীক্ষায় ৪ জনের, পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৯ জনের পরীক্ষায় ২ জন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৮ জনের পরীক্ষায় ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন নগরীর এবং জেলার বাসিন্দা একজন। চট্টগ্রামে চলতি মাসে ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে তিন জন জেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৫০ জনের পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এটি চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত। করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতা অত্যন্তত গুরুত্বপূর্ণ। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেঞ্জ রিঅ্যাকশনসহ (আরটি-পিসিআর) বিভিন্ন পদ্ধতিতে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে সরকার। গতকাল থেকে দেশের ১৭টি স্থানের ল্যাবরেটরিতে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এরইমধ্যে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিগুলোতে পর্যাপ্ত টেস্ট কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ভিটিএম (ভাইরাল ট্রান্সমিশন মিডিয়া) পাঠানো হয়েছে। তারা সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন হাসপাতালে (যেখানে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি রয়েছে) যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য টেস্ট কিট নেই বলে জানানো হচ্ছে। অনেকেই পরীক্ষা করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটির পর আজ থেকে সরকারি অফিস আদালত খুলেছে।

তিনি জানান, গত দুই-তিনদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে। গতকাল থেকে দেশের ১৭ টি স্থানে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সরাসরি ও ভিটিএম পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে এনে পরীক্ষা করা হবে। আগামী এক মাস পজিটিভ রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় চারজন ও চট্টগ্রামে ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। সিলেটে একজনের নমুনা পরীক্ষা হলেও করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভর্তি রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন পাঁচজন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত