ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আমপাতার উপকারিতা

আমপাতার উপকারিতা

আম একটি পুষ্টিকর ফল। আম কাঁচা এবং পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি ৬, ফোলেট ও অন্যান্য প্রচুর পুষ্টি উপাদান। কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। যারা ডায়েট করছেন বা ডায়াবেটিস রোগী তারা অনায়াসে খেতে পারবেন কাঁচা আম। আর পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ ইত্যাদি, যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আমে ক্যারোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। পাকা আমে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন সি, রিভোফ্লেভিন এবং থায়ামিন থাকে। তবে শুধু আম নয়, আমপাতায়ও রয়েছে পুষ্টিগুণ। আমপাতা খাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়েলের মতে, আমের পাতা অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়। কারণ এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যালকালয়েড, বিটা-ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভোনয়েড। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং সি রয়েছে। এছাড়া আমপাতায় টারপেনয়েড এবং পলিফেনল যৌগও থাকে। আপনি যদি নিয়মিত আমপাতা খান, তাহলে এটি আপনার অনেক সমস্যা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় অনেক সাহায্য করতে পারে।

তাজা পাতা চিবিয়ে খান: এটি খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়। সকালে খালি পেটে ২-৩টি তাজা আমপাতা ভালো করে ধুয়ে সরাসরি এটি খেতে পারেন।

পানিতে ফুটিয়ে খান: রান্নার পর আমপাতা ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। আমপাতা ২-৩টি পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন।

পাতার পানি পান করুন: পাতা সেদ্ধ করার পর অবশিষ্ট পানি পান করতে পারেন অথবা মিক্সারে পিষে, ফিল্টার করে এই পানি পান করতে পারেন।

চা বানান এবং পান করুন: আপনি আমের পাতা থেকে ভেষজ চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এক কাপ পানিতে ২-৩টি আম পাতা, এক টুকরো আদা সেদ্ধ করুন। এটি একটি কাপে ছেঁকে নিন, তারপর মধু যোগ করুন এবং পান করুন।

আমপাতা খাওয়ার উপকারিতা: হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে- আমপাতা খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই সবই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: আপনি যদি নিয়মিত আমপাতার চা পান করেন, তাহলে এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক বিপাক বৃদ্ধিকারী। এটি হজমশক্তিও উন্নত করে। যা আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে।

সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে: আমপাতায় উপস্থিত শক্তিশালী ঔষধি গুণাবলী এবং ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে ভাইরাল ফ্লু এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

শরীরকে বিষমুক্ত করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায়, আমপাতা মুক্ত র‍্যাডিকেল এবং ক্ষতিকারক কণা ধ্বংস করতে খুবই কার্যকর। এগুলো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং বিষমুক্তকরণে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত